দুইমুখী রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য

দুইমুখী রুদ্রাক্ষ চন্দ্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। এটি অর্ধনারীশ্বরের প্রতীক। শিব ও পার্বতীর যৌথ রূপ। এই রুদ্রাক্ষে আমরা দুজনকে একই শরীরে দেখি।

নেপাল বা ইন্দোনেশিয়ার দুই মুখী রুদ্রাক্ষে প্রাকৃতিক উপায়ে ছিদ্র হয়ে থাকে। কিন্তু দেরাদুন বা হরিদ্বারে যেসব রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়, সেগুলিতে কৃত্রিম উপায়ে ছিদ্র করা হয় – যা মধ্যম শ্রেণীর। নেপালের দুই মুখী রুদ্রাক্ষ দেখতে চ্যাপ্টা ও উপরের অংশটা শক্ত সোজা। কিন্তু দেরাদুন-হরিদ্বারের দুই মুখী রুদ্রাক্ষ দেখতে ডিম্বাকার। উপরের অংশটি রুক্ষ্ম ও হালকা। ইন্দোনেশিয়ার দুইমুখী রুদ্রাক্ষ আকারে ছোট প্রাকৃতিক ছিদ্রযুক্ত।

এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারী পবিত্র পারিবারিক জীবনযাপন করতে পারেন। ধনী হতে, একতা আনতে খুব সাহায্য করে। শিক্ষক-ছাত্রে, পিতা-পুত্রে, স্বামী-স্ত্রীতে সুসম্পর্ক তৈরিতে সাহায্য করে। গো-হত্যাজনিত পাপ থেকে মুক্ত করে এই রুদ্রাক্ষ। অগ্নি এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারীকে আশীর্বাদ করেন। হোম ও যজ্ঞ করলে যে ফল পাওয়া যায়, তা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে পাওয়া যায়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে যেমন পার্থিব লাভ পাওয়া যায়, তেমনি নির্বাণ এবং মোক্ষলাভও হয়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের ফলে সমৃদ্ধি লাভ, বশীকরণ ও স্ত্রীলোকের গর্ভরক্ষায় সাহায্য যাওয়া যায়।

দুইমুখী রুদ্রাক্ষে কি কি রোগ সারে?
স্মৃতিভ্রংশ, মূত্রাশয়ের ব্যাধি, ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা, বাম চোখের সমস্যা, লিউকোমিয়া, লিভার, স্তন ও কিডনির সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।

কে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন?
যাঁরা অবিবাহিত, যারা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন, যারা সুখী হতে চান, আধ্যাত্মিক উন্নতি করতে চান, মোক্ষলাভ করতে আগ্রহী, বা যারা পার্থিব সম্পদ লাভে একান্ত ইচ্ছুক, তারা এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সুফল পাবেন। যেসব দম্পত্তির সন্তান হয়নি তারা এই রুদ্রাক্ষ হতে সুফল পেতে পারেন।

জ্যোতিষ বিচারে দুইমুখী রুদ্রাক্ষ
আগেই বলা হয়েছে এই রুদ্রাক্ষ চন্দ্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। তাই চন্দ্রের প্রভাব এর উপর পড়ে। রাহুযুক্ত চন্দ্র, নীচস্থ চন্দ্র, দুঃস্থানে চন্দ্র, অশুভ গ্রহের চন্দ্রের উপর দৃষ্টি ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই দুইমুখী রুদ্রাক্ষ ভলো ফল দান করে।

রুদ্রাক্ষ শোধন
শৈবমতে দুই মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের জন্য শোধন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

দুইমুখী রুদ্রাক্ষ ক্রয় করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

Tags:
0
X