নয়মুখী রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য

নয়মুখী রুদ্রাক্ষ দেবী দুর্গা বা শক্তির প্রতীক। এর দেবতা হলেন ভৈরব ও ধর্মরাজ যম। এটি কেতুগ্রহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। নয় দেবীর শক্তি এই রুদ্রাক্ষে নিহিত। যারা শক্তির সাধনা করেন, তাদের এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা অবশ্য কর্তব্য। সকল রুদ্রাক্ষই শিবের প্রতীক। নয়মুখী রুদ্রাক্ষ নয়টি বিশেষ গুণ ধারণ করে। এটি আত্মশক্তি বৃদ্ধি করে। যেকোন কাজে মনোনিবেশ ও একাগ্রতা আনায় সাহায্য করে। মায়ের কোলে শিশু যেমন নিরাপদ, তেমনি এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারী সর্বভয় থেকে মুক্ত থাকেন। যিনি সবসময় এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন, মা তাকে সর্বদাই রক্ষা করেন ও সবসময় তিনি ধারণকারীর কাছেই থাকেন। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে দৈহিক শক্তি বাড়ে, পরন্তু শিবত্ব প্রাপ্তি বা মুক্তির দিকে এগিয়ে দেয়।পৃ

পৃথিবীতে এমন কিছু বস্তু আছে, যা উন্নতি আনে আর এমন কিছু বস্তু আছে, যা নির্বাণ লাভের সহায়ক। যদিও আপাতদৃষ্টিতে দুটিই বিপরীত ধর্মী। আমরা জানি সুখ বা পার্থিব আনন্দ হেয়, তা ক্ষণস্থায়ীও। ওই সুখ আমাদের মধ্যে ত্যাগ-তিতিক্ষা আনতে পারে না। তবে যদি কেউ বিভিন্ন পূজা ও আচার মেনে শ্রীযন্ত্রম্ ও নয়মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন, তবে সে দুই-ই লাভ করে। পার্থিব ও অপার্থিব উভয় আনন্দই তার করায়ত্ত হয়।

আগেই বলা হয়েছে এই নয়মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণকারী মহাশক্তির আশীর্বাদ লাভ করেন। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে তার উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ে। চারিদিকে নাম-যশঃ ছড়িয়ে পড়ে। সাহসের সাথে সামনে এগিয়ে যান। তার ইচ্ছাশক্তি অত্যন্ত বৃদ্ধি হয়। আধ্যাত্মিক শক্তি বৃদ্ধিতে এবং মানসিক শক্তি রক্ষায় সাহায্য করে। এটি প্রকৃতপক্ষে দেবী দুর্গার রক্ষাকবচ, যা সর্বদা ধারণকারীকে সবরকম বিপদ থেকে রক্ষা করে।

এটি মেয়েদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রুদ্রাক্ষ, কোন দ্রব্যই দুর্গার এই কবচকে বিনষ্ট বা ধ্বংস করতে পারে না। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সকলেরই মন ঈশ্বরমুখী হয়। এই রুদ্রাক্ষ শত্রু, আগুন, বর্ষা, ভূমিকম্প, ঝড়-ঝঞ্ঝা, হিংস্র জন্তুর হাত থেকে রক্ষা করে। তদুপরি অকালমৃত্যু রোধ করে, মৃত্যুভয় দূর করে, মনে শান্তি এর দেয়। কর্মরত মহিলাদের পক্ষে এই রুদ্রাক্ষ খুবই কার্যকরী। বাম হাতে ধারণ করতে হয়।

এই রুদ্রাক্ষ ধারণে কি কি রোগ সারে?
মস্তিষ্কের রোগসমূহ, ফুসফুস, স্তনদ্বয়, যৌনাঙ্গ, চক্ষুর ব্যাধি নিরাময়ে সাহায্য করে। পরন্তু গর্ভপাত, গর্ভধারণে সমস্যা প্রভৃতি অসুখেও উপকার পাওয়া যায়।

জ্যোতিষ বিচারে নয়মুখী রুদ্রাক্ষ
এটি রাহু ও কেতুর দোষ খণ্ডন করে। যাদের কেতু নীচস্থ বা কোন শত্রুর সঙ্গে দুস্থানে অবস্থিত, তাদের পক্ষে এই নয়মুখী রুদ্রাক্ষ বিশেষ সহায়ক। কেতুর দ্বারা সৃষ্ট রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

রুদ্রাক্ষ শোধন
শৈবমতে নয়মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের জন্য শোধন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

নয়মুখী রুদ্রাক্ষ ক্রয় করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

0
X