তেরোমুখী রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য

তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ দেবরাজ ইন্দ্রের ও কামদেবের প্রতীক। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে দেবরাজ ইন্দ্র প্রীত হন। তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের ফলে ধারণকারী ধনী হন। উচ্চস্থান পান। দিন দিন সম্মান বাড়ে। এই রুদ্রাক্ষ থাকলে সব আশা-আকাঙ্ক্ষার পূরণ হয় ও অষ্টসিদ্ধি লাভ হয়। এমনকি ব্যাসদেবও ধারণকারীর প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন। এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারীর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে কামদেব তার পার্থিব সুখ ও আনন্দ দান করেন। দেব সেনাপতি কার্তিকেয়র মতো এই রুদ্রাক্ষ সব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে। তেরোমুখী এই রুদ্রাক্ষা চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কিত সব তথ্য দান করে। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের ফলে গবেষকগণ তাদের গবেষণায় নতুন নতুন দিক উন্মোচন করে সফলতার শীর্ষে উঠেন। তর্কযুদ্ধ বা বিতর্কে তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণকারীকে কেউ পরাজিত করতে পারে না – এটি পরীক্ষিত সত্য ৷ এই রুদ্রাক্ষ জীবনে পরিপূর্ণ ভোগ করতে সাহায্য করে। নিকট আত্মীয় হত্যাজনিত পাপ থেকে মুক্ত করে, সৌভাগ্য আনে, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক বিকাশ লাভ হয়, নেতৃত্ব ক্ষমতা দেয় পরন্তু নাম-যশঃ বাড়ে। আকর্ষণ, লেখাপড়া ও বক্তৃতাদানেরও ক্ষমতা বাড়ায়।

এই রুদ্রাক্ষ ধারণে কি কি রোগ সারে?
যৌনব্যাধি, গলা, কিডনি, প্রস্রাব, চক্ষু, থাইরয়েড, বদহজম, বাত প্রভৃতি রোগে উপকার দেয়।

কে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন?
যারা গবেষণার কাজে রত, যারা নির্ধারিত ফল লাভের জন্য অপেক্ষমান, যারা আরামদায়ক জীবনযাপনে অভিলাষী, তাদের জন্য। তাছাড়া অভিনেতা শিল্পী, রাজনীতিবিদ, বিক্রয়-ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত, মানব সম্পদ উন্নয়নের কাজে যুক্ত প্রমুখ ব্যক্তিরা ধারণ করতে পারেন। ধারণ করতে হয় ডান হাতে।

জ্যোতিষ বিচারে তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ
মঙ্গল ও শুক্রের দোষ কাটায়। মঙ্গল ও শুক্র নীচস্থ হলে বা শুক্রসহ দুঃস্থানে থাকলে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা যায়। প্রবাল ও হীরের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়।

রুদ্রাক্ষ শোধন
শৈবমতে তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের জন্য শোধন করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ ক্রয় করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

0