চারমুখী রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য

চারমুখী রুদ্রাক্ষের চারটি সমান্তরাল লাইন থাকে। লাইনগুলি মুখ থেকে পুচ্ছ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই রুদ্রাক্ষ বুধ গ্রহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার চার মাথার পূর্ণ জ্ঞান এর মধ্যে নিহিত থাকে। ফলে এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারীকে সৃষ্টির ক্ষমতা, জ্ঞান ও বিদ্যা শিক্ষায় সাহায্য করে। একটু বোকা ও কম বুদ্ধিমান ছাত্রদের এটা ধারণ করা উচিত তাছাড়া বিজ্ঞানের শিক্ষক ও গবেষকরা, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবিদের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব অপরিসীম। এই রুদ্রাক্ষ জ্ঞানবৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যদি ৩টি চারমুখী রুদ্রাক্ষ ডান হাতে ধারণ করা যায়, তবে ফল খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করার ফলে ধারণকারীর বাকশক্তি অনেক বেড়ে যায়। নাম, যশঃ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। জীবহত্যার পাপ থেকে মুক্ত হওয়া যায়। তবে বাচ্চাদের স্মরণ শক্তি ও মনোনিবেশে বিশেষভাবেই সাহায্য করে। সকল ছাত্রদেরই এটি ধারণ করা উচিত। এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারীর শরীর নীরোগ হয় ও সমৃদ্ধি ঘটে। এর দ্বারা মহাজ্ঞান, চিত্তশুদ্ধি ও সম্পত্তি লাভ হয়।

এই রুদ্রাক্ষ ধারণে কি কি রোগ সারে?
চারমুখী রুদ্রাক্ষের প্রভাবে স্মৃতিভ্রংশ, মৃগীরোগ, মানসিক রোগ, ই.এস.টি., যৌনব্যাধি, প্যারালাইসিস, গলব্লাডারের অসুস্থতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে কাজ করে। পরন্তু হাত, বাহু, ফুসফুস বা থাইরয়েডের অসুস্থতাতেও এই রুদ্রাক্ষ উপকার করে।

কে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারে?
ছাত্র, শিক্ষক বা যে সকল মানুষ তাঁদের মনকে বেশি করে ব্যবহার করেন, তাঁরাই এই রুদ্রাক্ষ ব্যবহার করতে পারেন। আবারও বলি- পড়াশুনায় সাফল্য, পড়াশুনায় মনোনিবেশ, গবেষকদের গবেষণার কাজে এই রুদ্রাক্ষ ব্যবহৃত হয়।

জ্যোতিষ বিচারে একমুখী রুদ্রাক্ষ
বুধ গ্রহের কোপ প্রশমিত হয়। বুধ গ্রহ সংক্রান্ত বিষয়ে যেমন – কোন কিছু বুঝার অক্ষমতা, যথাযথ মত বিনিময়ে অক্ষমতা, যুক্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক চিন্তার অভাব ইত্যাদি বিষয়ে এই রুদ্রাক্ষ সাহায্য করে। অর্থাৎ বুধ গ্রহ যদি নীচস্থ হয় অথবা অন্য কোন শত্রু গ্রহের সাথে একস্থানে, দুষ্টস্থানে থাকে বা অন্য কোন কুগ্রহের দৃষ্টিতে পড়ে, তবে পান্নার পরিবর্তে এই চারমুখী ৩টি রুদ্রাক্ষ ডান হাতে ধারণ করলে অনেক গুণ বেশি ফল পাওয়া যায়।

রুদ্রাক্ষ শোধন
শৈব মতে চার মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের জন্য শোধন করতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

চারমুখী রুদ্রাক্ষ ক্রয় করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

0
X