ছয়মুখী রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য

ছয়মুখী রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য- ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ ক্ষমতার কেন্দ্রে পরমেশ্বর ভগবান শিবের দ্বিতীয় পুত্র কুমার কার্তিকের অবস্থান। শুক্রগ্রহ কর্তৃক এই রুদ্রাক্ষ নিয়ন্ত্রিত। এই রুদ্রাক্ষ আমাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বিদ্যাদান করে। আমাদের দৈনন্দিন সংসারের দুঃখের হাত থেকে রক্ষা করে। যদি কোন বোকা ছাত্রও প্রতিদিন এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করে, তবে তার মানসিক শক্তি অসম্ভব বেড়ে যায়। একটি ছয়মুখী রুদ্রাক্ষের সঙ্গে যদি একটি চারমুখী রুদ্রাক্ষ যোগ করা যায়, তবে ফল অনেকটাই ভালো হবে। মানসিক শক্তি খুব বৃদ্ধি পাবে। এটি কোম্পানী ম্যানেজার, সাংবাদিক, সম্পাদক ও ব্যবসায়ীর পক্ষে অত্যন্ত শুভ। কার্তিকেয় নেতৃত্ব দেবার গুণ অর্জনের এবং শক্তি ও উৎসাহের প্রতীক। তাই এই রুদ্রাক্ষ ধারণ মানুষের মধ্যে ওই সকল গুণের সমন্বয় ঘটায়।

তিনটি ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে ফল অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার ক্ষমতা ও ইচ্ছাশক্তি বাড়ে। জনতার সমক্ষে তার বক্তৃতা দেবার ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। সব পাপ থেকে মুক্ত করে। এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারী সাহসী হয়। এর সাথে যদি একটি বা দুটি চারমুখী যোগ করে ধারণ করা যায় তবে, বিদ্যা বা জ্ঞানার্জনে পারদর্শিতা লাভ করা যায়। তাছাড়া এই রুদ্রাক্ষ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সাংসারিক যাবতীয় কষ্ট থেকে মানুষকে রক্ষা করে।

এই রুদ্রাক্ষ ধারণে কি কি রোগ সারে?
যৌনব্যাধি, মুখের রোগ, প্রস্রাবের সমস্যা, ক্যান্সার, অর্গান ফেলিওর, কিডনি, ঘাড়ের সমস্যা, বদহজম, বাত, চক্ষু, স্নায়ু, থাইরয়েড, শিরা সংক্রান্ত প্রভৃতি সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।

কে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন?
ছাত্র-শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী (যারা মানসিক শক্তি ব্যবহার করেন), শিল্পী এর যারা বক্তৃতা ক্ষমতা বাড়াতে চান অর্থাৎ নেতৃবৃন্দ।

জ্যোতিষ বিচারে ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ
শুক্রের যাবতীয় দোষ এই রুদ্রাক্ষ ধারণে দূর হয়। অর্থাৎ হীরের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। কারোর যদি শুক্র নীচস্থ থাকে বা শত্রুর সঙ্গে, বিশেষ করে শনির সঙ্গে একই সঙ্গে খারাপ স্থানে থাকে, তবে অবশ্যই এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। শুক্রের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় রোগের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

রুদ্রাক্ষ শোধন
শৈবমতে ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণের জন্য শোধন করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ছয়মুখী রুদ্রাক্ষ ক্রয় করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

0